• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

সুনামগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর গেইটে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনের পোস্টারে সয়লাব

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া , সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
শিক্ষার্থীদের নজর কারতে আকর্ষণীয় কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনের পোস্টারে সয়লাব সরকারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের গেইট গুলোতে। এ যেন বিজ্ঞাপন প্রচারের নিধারিত স্থানে পরিনত করেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য নষ্ট করে কারো অনুমতি না নিয়েই যে যেভাবে পারছে সে ভাবেই কোচিং সেন্টারের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ে মূল গেইট জুড়ে রয়েছে তাদের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের পোষ্টার থাকায় এনিয়ে অভিভাবক ও জেলার সচেতন মহলে ক্ষোব বিরাজ করছে।
আর এমনি চিত্র দেখা গেছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে।
জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়,জেলা শহরে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মধ্যে রয়েছে ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন। এছাড়া রয়েছে প্রাইম কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার।
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক একটি সেটিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের পোস্টারে। জেলা ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান ফটক দখল রয়েছে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনের পোস্টার। সরকারি একটি বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পোস্টার লাগিয়ে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন দেয়াকে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা বলে মনে করছেন অভিভাবক শফিক রহমান ও প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
জুবলী সরকারি বিদ্যালয় থেকে মেয়েকে নিতে আসা শাহীন মিয়া জানান,পোস্টার লাগানোর অনেক জায়গা আছে। ১২ যুগ ধরে ঐতিহ্যবাহী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কারণে মূল গেইটে সৌন্দর্য নষ্ট করে এভাবে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন পোস্টার লাগানোর ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাকিল মারুফ বলেন,ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের গেইটে এভাবে কোচিং সেন্টারের পোস্টার লাগানো শোভনীয় নয়,বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যহানী হয়। ওই প্রতিষ্ঠান গুলোকে এইসব কাজ করার জন্য তাদের কারণ দর্শানোরা নোটিশ দিয়ে ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকটি সুন্দর পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
এবিষয়ে ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের সুনামগঞ্জ শাখার পরিচালক সুয়েব আহমেদ জানান,টাকা দিয়ে পোস্টার লাগানোর জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম তারাই এই কাজটি করেছে। আমাদের কোন হাত নেই। তাদের শিক্ষা জ্ঞান কম থাকায় কোথায় কি লাগাতে হয় তারা তা জানে না।
পোস্টার লাগানোর কাজ দেয়ার সময় প্রতিষ্ঠান থেকে কি কোন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো কি না এমন প্রশ্নে কোন উত্তর না দিয়ে শ্রমিকদের উপর দায় চাপিয়ে দেন এই পরিচালক।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনসুর রহমান খান জানান,এবিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং সরকারি এই বিদ্যালয় পোস্টার লাগাতে না পারে সেই ব্যবস্থাও নিব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads